সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী লেখায় একুশের গান. একটি বাংলা গান যা আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো হিসেবে সুপরিচিত (প্রথম চরণ দ্বারা)। সম্পাদক ও প্রকাশক:- মো তাহিম বাদশা "

সম্পাদক ও প্রকাশক:- মো তাহিম বাদশা "

একুশের গান একটি বাংলা গান যাআমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো হিসেবে সুপরিচিত (প্রথম চরণ দ্বারা)। 
এই গানের কথায় ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি ২১ তারিখে সংঘটিত বাংলা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ফুটে উঠেছে। সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরী১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারিতে গানটি রচনা করেন। প্রথমে আবদুল লতিফ গানটি সুরারোপ করেন। তবে পরবর্তীতে আলতাফ মাহমুদের করা সুরটিই অধিক জনপ্রিয়তা লাভ করে, ১৯৫৪ সালের প্রভাত ফেরীতে প্রথম গাওয়া হয় আলতাফ মাহমুদের সুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো গানটি এবং এটিই এখন গানটির প্রাতিষ্ঠানিক সুর। ১৯৬৯ সালে জহির রায়হান তাঁর 'জীবন থেকে নেওয়া' চলচ্চিত্রে গানটি ব্যবহার করেন। বর্তমানে এই গানটি হিন্দি, মালয়, ইংরেজি, ফরাসি, সুইডিশ, জাপানিসহ ১২টি ভাষায় গাওয়া হয়।   





****গান****
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
ছেলেহারা শত মায়ের অশ্রু ঝরা এ ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি
আমার সোনার দেশের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
আমি কি ভুলিতে পারি।।

জাগো নাগিনীরা জাগো নাগিনীরা জাগো কালবোশেখীরা
শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ কাঁপুক বসুন্ধরা,
দেশের সোনার ছেলে খুন করে রোখে মানুষের দাবী
দিন বদলের ক্রান্তিলগ্নে তবু তোরা পার পাবি?
না, না, না, না খুন রাঙা ইতিহাসে শেষ রায় দেওয়া তারই
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।

সেদিনও এমনি নীল গগনের বসনে শীতের শেষে
রাত জাগা চাঁদ চুমো খেয়েছিল হেসে;
পথে পথে ফোটে রজনীগন্ধা অলকনন্দা যেন,
এমন সময় ঝড় এলো এক ঝড় এলো খ্যাপা বুনো।।

সেই আঁধারের পশুদের মুখ চেনা,
তাহাদের তরে মায়ের, বোনের, ভায়ের চরম ঘৃণা
ওরা গুলি ছোঁড়ে এদেশের প্রাণে দেশের দাবীকে রোখে
ওদের ঘৃণ্য পদাঘাত এই সারা বাংলার বুকে
ওরা এদেশের নয়,
দেশের ভাগ্য ওরা করে বিক্রয়
ওরা মানুষের অন্ন, বস্ত্র, শান্তি নিয়েছে কাড়ি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।

তুমি আজ জাগো তুমি আজ জাগো একুশে ফেব্রুয়ারি
আজো জালিমের কারাগারে মরে বীর ছেলে বীর নারী
আমার শহীদ ভায়ের আত্মা ডাকে
জাগো মানুষের সুপ্ত শক্তি হাটে মাঠে ঘাটে বাটে
দারুণ ক্রোধের আগুনে আবার জ্বালবো ফেব্রুয়ারি
একুশে ফেব্রুয়ারি একুশে ফেব্রুয়ারি।।

সোমবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১৮

সীতাকুণ্ড উপজেলার ১নং সৈয়দপুর বগাচতর গ্রামে। বগাচতর ম্যানগ্রোভ বন যেন এক অপরুপ সৌন্দর্য

সম্পাদক ও প্রকাশক :-মোঃ তাহিম বাদশা
আপনি যেই জায়গাটা দেখতেছেন
ভাবতে পারেন হয়তো এটি সুন্দরবন.....

আদৌ ও কিন্তু এটি সুন্দরবন নই,
এই বনটির নাম "বাবলা বন",











খুব কম খরচে আপনি এই বনটি ঘুরে আসতে পারেন,

এটিও একটি ছোটো খাটো ম্যানগ্রোভ বন,
এটি চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড এবং মীরস্বরাই এর সীমানা মধ্যবর্তী রাস্তার(ঢাকা চিটাগাং রোড) থেকে ঠিক ৫/৬ কি.মি, পশ্চিমে অবস্থিত.

আপনি এই বনটি তে যেতে চাইলে সীতাকুণ্ড এবং মীরস্বরাই এর মধ্যবর্তী বাজার "বড়দারোগার হাট" এ নামতে হবে,

[আরো একটি কথা......
বড়দারোগার হাটের পূর্ব পাশে রুপসী ঝর্ণা অবস্থিত,
এটিও হুবহু খৈয়াছড়া ঝর্ণার মতো]

১. চট্টগ্রাম থেকে এই বনটি তে যেতে চাইলে, "এ.কে খান" থেকে যে কোনো বাসে "বড়দারোগার হাট" পর্যন্ত ৪০টাকা নিবে,
"বড়দারোগার হাট" বাজার থেকে সিএনজি রিজার্ভ ১৫০টাকা নিবে, টোটালি ১৯০টাকা লাগবে,

২. খৈয়াছড়া ঝর্ণা থেকে এই জায়গাটিতে যেতে প্রায় ৫০ টাকা(সেইভ লাইন) খরচ হতে পারে,

৩. সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক থেকে যেতে(সেইভ লাইন) ৫০টাকা লাগবে,

৪. আর বাশঁবাড়িয়া বিচ্ থেকে আনুমানিক ৭০টাকা(সেইভ লাইন) লাগবে জনপ্রতি,

এই বনটি সীতাকুণ্ড এবং মীরস্বরাই এলাকাজুড়ে বিস্তৃত,
নৌকার মাধ্যমে আপনি বঙ্গোপসাগরে ও যেতে পারবেন,

এই বনটি তে বিচিত্র ধরনের হরিণ,গুঁইসাপ,মহিষ,গরু,সাপ,পাখি,মৌমাছি দেখতে পাওয়া যায়,
হরেক রকমের মাছ ও দেখতে পাবেন,

আর এর আকাঁবাকাঁ খাল(ক্যানেল) গুলো খুবই মনোমুগ্ধকর,

মোবাইলের মাধ্যমে কিছু ছবি আপনাদের কাছে উপস্থাপনা করলাম,

[বি:দ্র]- কোনো ভুল ক্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন,

সীতাকুণ্ডের ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নে ২ওয়াডের দক্ষিণ বগাচতর গ্রামে আগ্নিকান্ডে ৪ বসতঘর পুডে ছাই।



সম্পাদক ও প্রকাশক:- মোঃ তাহিম বাদশা



আলমগীরের রাণাঘরের চুলা থেকে এই আগ্নিকান্ড়ের সুত্তপাত ঘটে পরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সুত্তপাত হয়ে আগুনের লেলিহান শিখায় ৪ বসতঘর পুডে ছাই হয়ে য়ায। পরে ফায়ার সাভির্স এসে আগুন নিয়তনে আনেন।

সোমবার দুপুর ২:৩০ মিনিটে উপজেলা ১নং সৈয়দপুর ইউনিয়নে বগাচতর গ্রামে ইয়াছিন মোল্লা বাডীতে এই আগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে জান মানের ক্ষতি না হলে ও প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো। বর্তমানে এই পরিবার গুলো খোলা আকাশের নিচে বাস করছে।

রবিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০১৮

ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে সারাজীবন গণমানুষের রাজনীতিতে নিবেদিতপ্রাণ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউসুফ দেড় দশক ধরে প্রায় বিনা চিকিৎসায় শয্যাশায়ী হয়ে থাকলেও এই রাষ্ট্রের কাছে শুধু অবহেলাই পেয়েছেন তিনি।


সম্পাদক ও প্রকাশক:- মো তাহিম বাদশা
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া আসনের সাবেক এই সংসদ সদস্য গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী দিনযাপন করছেন।

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মো. ইউসুফ মাসিক ভাতা পেলেও রাষ্ট্রীয়ভাবে তার চিকিৎসার কোনো খোঁজ নেওয়া হয়নি বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা।

তবে দেরিতে হলেও সাবেক সংসদ সদস্য ইউসুফের জন্য যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছোট একটি চায়ের দোকানের উপার্জন দিয়ে পরিবারের ব্যয় নির্বাহের পাশাপাশি ১৭ বছর ধরে বড় ভাইয়ের দেখাশোনা করছেন মো. সেকান্দর।

২০০১ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত কারণে চলৎশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে রাঙ্গুনিয়া পৌর সদরের কলেজ রোডে ভাইয়ের বাসায় শয্যাশায়ী হয়ে রয়েছেন। সবশেষ সপ্তাহখানেক আগে হাঁটাচলার শক্তি একেবারেই হারিয়ে ফেলেছেন।

কলেজ রোডের একটি দুই তলা ভবনের নিচতলায় একটি তিন কক্ষের ছোট বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন সেকান্দর। ওই বাসার একটি কক্ষ বরাদ্দ ইউসুফের জন্য।

শনিবার বিকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষটিতে ছোট একটি চৌকির মধ্যে নির্বাক শুয়ে আছেন তিনি।

তাকে দেখতে আসা মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরুল আবছার বলেন  “উনার অবস্থা দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। একজন সম্মুখসমরের সাহসী যোদ্ধা আজ বিনা চিকিৎসায় আছেন।
“ওনার এই পরিণতি দেখে কোনো স্বচ্ছ ও সৎ রাজনৈতিক নেতাকর্মী সৃষ্টি হবে না।”

সেকান্দার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনি (ইউসুফ) সারাজীবন শ্রমিক আর গরিব মানুষের সাথে রাজনীতি করেছেন। ২০০১ সালে ব্রেইন স্ট্রোক করার পর থেকেই অসুস্থ।

“আগে চেয়ারে বসতে পারতেন। গত সপ্তাহখানেক ধরে তাও পারছেন না। এখন উনি বিছানা থেকে নামতেও পারেন না। কেউ আসলে ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকেন।”

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মাসিক ভাতা পান জানিয়ে সেকান্দর বলেন, “আমি ছোট একটা চা দোকান করি। অর্থাভাবে দীর্ঘদিন ভালোমতো চিকিৎসা করাতে পারছি না।”

তিন ভাই-তিন বোনের মধ্যে সবার বড় ইউসুফ সারাজীবন ছিলেন রাজনীতি অন্তঃপ্রাণ, বিয়ে করেননি তিনি।

রাঙ্গুনিয়া থানা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি থাকার সময় ১৯৬৯-৭০ সালে রাঙ্গুনিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ছিলেন।

স্বাধীনতার পর শ্রমিক রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পর ১৯৭৪-৭৫ মেয়াদে দাউদ-ফোরাত জুটমিলে সিবিএ সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সালে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) রাঙ্গুনিয়া থানার সাবেক সভাপতি ইউসুফ জেলা কমিটির সদস্য এবং উত্তর জেলা কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যও ছিলেন।

১৯৯১ সালে আট দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে চট্টগ্রাম-৭ আসনে নির্বাচন করেন মো. ইউসুফ।
বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে ৩৪ হাজার ৬১৫ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। পরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন ইউসুফ।

ইউসুফের মুক্তিযুদ্ধকালীন কমান্ডার ও সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক , উনি অত্যন্ত সাহসী মুক্তিযোদ্ধা ছিলে।

“একাত্তরের ২৭ অক্টোবর কেলিশহর ভট্টাচার্য্য হাট অপারেশন, ২২ নভেম্বর ধলঘাট রেললাইন উড়িয়ে দেওয়া এবং ৯ ডিসেম্বর গৈরলার টেক অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন ইউসুফ।”

শাহ আলম বলেন, “ইউসুফ একজন সম্মুখসমরের যোদ্ধা ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ। রাষ্ট্র  তার  যথাযথ সম্মান দিতে পারেনি। উনার এই অবস্থা দেখে খুব কষ্ট হচ্ছে।”

মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সাংসদ ইউসুফের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনা চলছে।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল্লাহ আনসারী ফেসবুকে লিখেছেন, যেখানে একজন সাবেক এমপির এ অবস্থা সেখানে সাধারণ নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের কি অবস্থা? পুঁজিবাদী রাজনীতির কাছে একজন সৎ আদর্শবান রাজনীতিকের করুণ পরাজয়ের নমুনা মাত্র।

“এভাবে দেশে আওয়ামী লীগের সৎ আদর্শবান হাজার হাজার ইউসুফ ভাই ধুকে ধুকে মরছে সুবিধাবাদীদের ভিড়ে।”

চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস লিখেছেন, “আসুন আমরা আমাদের বিবেককে জাগ্রত করি। এভাবে আর কোনো রাজনীতিক, সাবেক সাংসদ, মুক্তিযোদ্ধাকে অর্থ কষ্টে বিনা চিকিৎসায় ধুকে ধুকে যেন মরতে না হয়।

মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারী, ২০১৮

বাংলাদেশের সীতাকুন্ডের নিকটে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপরে অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির অন্যতম

বাংলাদেশের সীতাকুন্ডের নিকটে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের উপরে অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির অন্যতম বিখ্যাত
https://sitakundorg.blogspot.com/2018/01/blog-post.html
গুরুত্বসম্পাদনা

সত্য যুগে দক্ষ যজ্ঞের পর সতী মাতা দেহ ত্যাগ করলে মহাদেব সতীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রলয় নৃত্য শুরু করলে বিষ্ণু দেব সুদর্শন চক্র দ্বারা সতীর মৃতদেহ ছেদন করেন। এতে সতী মাতার দেহখন্ডসমূহ ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত হয় এবং এ সকল স্থানসমূহ শক্তিপীঠ হিসেবে পরিচিতি পায়। [২]

ইতিহাসসম্পাদনা

রাজমালা অনুসারে প্রায় ৮০০ বছর পূর্বে গৌরের বিখ্যাত আদিসুরের বংশধর রাজা বিশ্বম্ভর সমুদ্রপথে চন্দ্রনাথে পৌঁছার চেষ্টা করেন। ত্রিপুরার শাসক ধন মানিক্য এ মন্দির থেকে শিবের মূর্তি তার রাজ্যে সরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিভিন্ন তথ্য অনুসারে এখানের ইতিহাস সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য জানা যায়। প্রাচীন নব্যপ্রস্তর যুগে সীতাকুণ্ডে মানুষের বসবাস শুরু হয় বলে ধারনা করা হয়। এখান থেকে আবিষ্কৃত প্রস্তর যুগের আসামিয় জনগোষ্ঠীর হাতিয়ার গুলো তারই স্বাক্ষর বহন করে। ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায়, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শতাব্দীতে সম্পূর্ণ চট্টগ্রাম অঞ্চল আরাকান রাজ্যের অধীনে ছিল। এর পরের শতাব্দীতে এই অঞ্চলের শাসনভার চলে যায় পাল সম্রাট ধর্মপাল দ্বারা এর হাতে (৭৭০-৮১০ খ্রীঃ)। সোনারগাঁও এর সুলতান ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ্ (১৩৩৮-১৩৪৯ খ্রীঃ) ১৩৪০ খ্রীষ্টাব্দে এ অঞ্চল অধিগ্রহন করেন। পরবর্তীতে ১৫৩৮ খ্রীষ্টাব্দে সুর বংশের শের শাহ্ সুরির নিকট বাংলার সুলতানি বংশের শেষ সুলতান সুলতান গীয়াস উদ্দীন মুহাম্মদ শাহ্ পরাজিত হলে হলে এই এলাকা আরাকান রাজ্যের হাতে চলে যায় এবং আরাকানীদের বংশধররা এই অঞ্চল শাসন করতে থাকেন। পরবর্তীতে পর্তুগীজরাও আরাকানীদের শাসনকাজে ভাগ বসায় এবং ১৫৩৮ খ্রী: থেকে ১৬৬৬ খ্রী: পর্যন্ত এই অঞ্চল পর্তুগীজ ও আরাকানী বংশধররা একসাথে শাসন করে। প্রায় ১২৮ বছরের রাজত্ব শেষে ১৯৬৬ খ্রী: মুঘল সেনাপতি বুজরুগ উন্মে খান আরাকানীদের এবং পর্তুগীজদের হটিয়ে এই অঞ্চল দখল করে নেন।[৩]

শিব চতুর্দশী মেলাসম্পাদনা

এই মন্দিরে প্রতিবছর শিবরাত্রি তথা শিবর্তুদশী তিথিতে বিশেষ পূজা হয়; এই পূজাকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডে বিশাল মেলা হয়। সীতাকুন্ড চন্দ্রনাথ পাহাড় এলাকা বসবাসকারী হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর বাংলা ফাল্গুন মাসে (ইংরেজী ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাস) বড় ধরনের একটি মেলার আয়োজন করে থাকে। যেটি শিবর্তুদর্শী মেলা নামে পরিচিত। এই মেলায় বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য সাধু এবং নারী-পুরুষ যোগদান করেন।

https://www.facebook.com/welovesitakund/ শক্তিপীঠ। সীতাকুণ্ড অপরূপ প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যের লীলাভূমি । এ এলাকাকে হিন্দুদের বড় তীর্থস্থান বলাই ভালো । এখানের সর্বোচ্চ পাহাড় চুড়ায় অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির । আর অন্যান্য আরো রয়েছে বড়বাজার পূজা মন্ডপ, ক্রমধেশ্বরী কালী মন্দির, ভোলানন্দ গিরি সেবাশ্রম, কাছারী বাড়ী, শনি ঠাকুর বাড়ী, প্রেমতলা, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রাহ্মচারী সেবাশ্রম, শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, গিরিশ ধর্মশালা, দোল চত্বর, এন,জি,সাহা তীর্থযাত্রী নিবাস, তীর্থ গুরু মোহন্ত আস্তানা, বিবেকানন্দ স্মৃতি পঞ্চবটি, জগন্নাথ আশ্রম, শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, মহাশ্মশানভবানী মন্দির, স্বয়ম্ভুনাথ মন্দিগয়াক্ষেত্, জগন্নাথ মন্দির, বিরুপাক্ষ মন্দির, পাতালপুরী, অন্নপূর্ণা মন্দির ইত্যাদি [১] এখানে হিন্দু পবিত্র গ্রন্থসমূহ অনুসারে সতী দেবীর দক্ষিণ হস্ত পতিত হয়েছিল। সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির তীর্থযাত্রীদের জন্য এক পবিত্র স্থান। এর পুরনো নাম ছিলো "সীতার কুন্ড মন্দির"।

বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭

জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফল ৩০ ডিসেম্বর


মোঃ তাহিম বাদশা
জুনিয়ার স্কুল সার্টিফিকেট ( জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফল আগামী ৩০ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ওইদিনই দু'টি পাবলিক পরীক্ষার ফল একযোগে প্রকাশ হবে । এই বছর ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন শিক্ষার্থী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে।

 রেওয়াজ অনুযায়ী, বোর্ড চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে ৩০ ডিসেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেবেন শিক্ষামন্ত্রী।

পরে সচিবালয়ের সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত জানানো হবে। শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর থেকে শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবে। ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচিও উদ্বোধন করবেন বলে জানান নাহিদ। এদিকে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। গণশিক্ষা মন্ত্রণায়ের সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ-জামান বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ফল প্রকাশ করতে চান তারা। 'প্রধানমন্ত্রী যে দিন সময় দেবেন, ওই দিনই ফল প্রকাশ করা হবে'।